তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরােধ কর্মকর্তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও সততা থাকতে হবে। যদি তারা তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে তাহলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে। বর্তমানে আমাদের সমাজের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ মানিলন্ডারিং করছেন যা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
সেলিম মাহমুদ আরো বলেন, বাংলাদেশ যাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য ড. ইউনূসসহ কিছু ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। বিএনপি-জামায়াত বেশ কয়েক বছর ধরে বিদেশে লবিস্টদের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এই অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছে, সেই অর্থ দেশ থেকে পাচারের অর্থ। এই অর্থ কীভাবে দেশ থেকে তারা পাচার করল, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুসন্ধান করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বমোড়ল ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের খবরদারি এবং চোখ রাঙানিকে তোয়াক্কা না করে এবং বাংলাদেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।
ড. সেলিম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈপ্লবিক উল্লম্ফন ঘটেছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তিনিই সমৃদ্ধ করেছেন। তৈরি পোশাক খাতে ২৬ বছরে ২০০৮ সালে দেশের রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার। আর মাত্র ১০ বছরে ২০১৯ সালে শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি ৩৪.১৩ ডলারে উন্নীত করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই প্রবৃদ্ধি ২৪১ শতাংশ। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ থেকে নানাভাবে অর্থ পাচার করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বিশ্বমোড়লদের চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘটনা বর্তমান বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উন্নয়নশীল বিশ্বের এক যুগান্তকারী বিজয়। শেখ হাসিনার এই সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমগ্র উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর দরকষাকষির সক্ষমতা বাড়াবে নিঃসন্দেহে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম। সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।