তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. রফিকুন্নবী ও মোহাম্মদ রতন মিয়া এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। একই সাথে বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ২০২১ সালে ১৪ জুনের মধ্যে চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কতৃত্ব গ্রহণ) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৫ ও ৬ বিধি মোতাবেক মেহবুব ইক্যুইটিকে ৩৫ লাখ ২২ হাজার ৯০০ শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে। তবে, প্রকৃতপক্ষে ওই শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, যা বিএসইসির দৃষ্টিতে এসেছে।
এছাড়া, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ তার অফিসের অবস্থান পরিবর্তন করেছে বা তার অফিস বন্ধ করেছে। এ বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন ২০১৫ এর রেগুলেশেন ৩৮ অনুযায়ী সকল স্টেকহোল্ডারদের অবহিত করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, কোম্পানিটি তা যাথাযথভাবে পরিপালন করেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের একজন মনোনীত পরিচালক। তাই, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন মনে করে, স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্স নং XVII) এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সালের ১৫নং আইন) এর ১৭ক ধারা অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা এ আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসর কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য , পুঁজিবাজারে ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত হয় মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মোট শেয়ার ৩ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৫৭টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৭০ শতাংশ শেয়ার।