আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছায় বিশ্বকাপ ট্রফি। সকালে রাখা হয় র্যাডিসন ব্লু হোটেলে। বিকেলে নেয়া হয় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে প্রদর্শন করানোর জন্য। বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করেন।
ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকাকোলার উদ্যোগে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় বাংলাদেশে পৌঁছায় ট্রফি।
পাকিস্তান থেকে আজ বিশেষ বিমানে বেলা প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছায় ট্রফি। সঙ্গে ছিলেন ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু ও ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত ১২ মে দুবাই থেকে কোকাকোলার আয়োজনে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু হয়। বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া আর কারও যেটি স্পর্শ করার অধিকার নেই। বিশ্বকাপ ট্রফিটি বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফুটবলের গৌরবোজ্জ্বল এই ট্রফিকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বকাপ ফুটবল ট্রফি বাংলাদেশে নিয়ে আসায় ফিফাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে খেলোয়াড়, সংগঠক ও সমর্থকরা ফুটবলের প্রতি আরো বেশি উৎসাহিত হবে এবং বাংলাদেশের ফুটবল আগামীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো এগিয়ে যাবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনেও অংশ নেন। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, এমপি, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান লালি কারেম্বু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, কোকাকোলা কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সভাপতি শংকেট রায় ও রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যগণ অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি সচিবগণ, ক্রীড়া সচিব ও উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগেও ২০১৩ সালে যে ট্রফিটি বাংলাদেশে এসেছিল, সেটি ছিল আসল ট্রফির রেপ্লিকা। এবার আসছে আসল ট্রফি। বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সফর শেষে আগামীকাল রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফির পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে উড়াল দেবে।