মুমিনুলও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। ভারমুক্ত হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে নামলেও রানখরা রয়েই গেছে মুমিনুলের ব্যাটে।
তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও রান পাননি। অ্যান্টিগায় দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতেও ব্যাটিং দৈন্যতায় ভুগলেন। প্রথম ইনিংসে ডাক মারার পরের দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ৪ রান।
কাইল মায়ার্সের ডেলিভারি প্যাডে লাগলে আউটের ইশারা দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি। আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয়েছে বাঁহাতি এ ব্যাটারকে।
এরই সঙ্গে টানা ৯ ইনিংস দশের নিচে আউট হন মুমিনুল। এর আগে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে মুমিনুল প্রথম ইনিংসে করেন শূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪ রান।
অর্থাৎ গত চার ইনিংসে মুমিনুল করেছেন - ০, ৪ ০, ৪।এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে শূন্য করেন মুমিনুল।
এ বাঁহাতি ব্যাটারের টানা অফফর্ম ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। কারণ এই সেই ব্যাটার যিনি ক্যারিয়ারের শুরুতে মাত্র ২৪ টেস্টে ৪ সেঞ্চুরি আর ১২ ফিফটি হাঁকান। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ২৪ ইনিংসে সব থেকে বেশি ৫০+ রান করার দিক থেকে ডন ব্রাডম্যানের পাশে নাম লেখান তিনি।
লাল বলের খেলায় মুমিনুল বাংলাদেশের অন্যতম স্বীকৃত ব্যাটার। আর সেই ব্যাটার সবশেষ ১৮ ইনিংসে মাত্র দুটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন। সবশেষ ১০ ইনিংসের মধ্যে চারবারই শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। প্রস্তুতি ম্যাচসহ এ সংখ্যা ৫ বার। বাকি ৭ ইনিংসে তার সংগ্রহ— ৩৭, ২, ৬, ৫, ২, ৯, ৪ ।