এর আগে গত ৮ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর ৮২৬তম কমিশনের সভায় নাভানা ফার্মার বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিধি অনুসারে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আওতায় কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
কোম্পানিটি প্রথমে নিলামের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করবে। যে দামে এসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেটি হবে এই শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস। আর আইপিওতে এই কাট-অফ প্রাইসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেষ বিক্রি শেষ হবার পর কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য আলাদা সময়সূচি ঘোষণা করবে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
গত ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। গত ৫ বছরে কর পরবর্তী মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ টাকা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।