সেই মামলার আসামি কথিত হেনোলাক্স কোম্পানির মালিক নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
জানা যায়, হেনোলাক্স কোম্পানিতে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন ব্যবসায়ী গাজী আনিস। লভ্যাংশসহ সেই টাকা তিন কোটির বেশি হয়েছে। তবে কোনো অর্থই পাননি তিনি। এনিয়ে মামলা করেও লাভ হয়নি।
গাজী আনিস ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। মৃত্যুর পর আনিসের বড়ভাই নজরুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এতে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।
নুরুল আমিন বর্তমানে আমিন পোলট্রি লিমিটেডের চেয়ারম্যান, আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আমিন ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। এরআগে আমিন হারবাল কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠার কথাও তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুকে নিজেকে ডা. এন আমিন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ব্যবসায়িক জীবন শুরুর আগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন নুরুল আমিন। ১৯৮৪ সালে হেনোলাক্স কোম্পানি শুরু করার পর তিনি আগের পেশা থেকে সরে এলেও নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করছেন। ফেসবুকে তিনি বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন, বাস্তবে সেগুলোর কার্যক্রম নেই।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় কথিত হেনোলাক্স গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ৩/১ পুরানা পল্টন, ঢাকা- ১০০০ উল্লেখ করেছেন নুরুল আমিন। নুরুল আমিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরে। ঢাকায় এসে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে হেনোলাক্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন হয়।