সরকারি কোষাগারে ডিএসই’র সর্বোচ্চ রাজস্ব

সরকারি কোষাগারে ডিএসই’র সর্বোচ্চ রাজস্ব
সদ্য বিদায়ী (২০২১-২২) অর্থবছরে সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৯০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২১ সালের ০১ জুলাই থেকে ২০২২ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে মোট ২৪০ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এই সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭২০ কোটি টাকার বেশি। সেখান থেকে সরকার ২৯০ কোটি ৮৮ লাখ টাকার রাজস্ব পেয়েছে। এর মধ্যে ব্রোকার হাউজের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে কমিশন বাবদ সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে রাজস্ব পেয়েছে ৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

রাজস্ব আয় বাড়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাস আগের বছরের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও বিদায়ী বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) মাধ্যমে ছয়টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে ৬৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে। এগুলো পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করেছে। পাশাপাশি একই সময়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

প্রতিষ্ঠানগুলোও তালিকাভুক্ত হয়েছে। বাজারে লেনদেন হচ্ছে। দুই ধরনের লেনদেন বাড়ায় সরকার পুঁজিবাজার থেকে রাজস্ব বেশি পেয়েছে।

নিয়ম অনুসারে, সরকার ব্রোকার হাউজ থেকে লেনদেনের উপর শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে কর নেয়। আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে ৫ শতাংশ হারে কর নেয়।

জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব দিয়েছে ডিএসই। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৬৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেই বছর ব্রোকার হাউজের লেনদেন থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি বাবদ আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২০২১-২২ বছরের ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব পেয়েছে সরকার। যা শতাংশের হিসেবে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।

এর আগে, ২০১০-১১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪২৭ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৭০ কোটি টাকা। তারপরের বছর ২০১২-১৩ সালে সরকারকে ২৭২ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছিল। তারপরের বছগুলোতে যথাক্রমে ২০১৩-১৪ সালে ১২৭ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ সালে ১৫৪ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ সালে ১৭৪ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ সালে ১৫৮ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ সালে ২৪৬ কোটি টাকা, ২০১৯-১৯ সালে ২৩৩ টাকা, ২০১৯-২০ সালে ২৫১ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ সালে ১০৪ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে ডিএসই।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ