শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি মাছ বাজারেই। তাদের অভিযোগ, চাহিদা বেশি হওয়ার সুযোগে বাড়তি দাম চাইছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে বাজারে বেশির ভাগ মাংসের দোকান বন্ধ। যেগুলো খোলা রয়েছে, সেখানে গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা আর খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা, ডিম পাড়া কক মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে।
দেখা গেছে, চাষের কই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এছাড়া পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা, শিং আকার ভেদে ৪০০-৫০০ টাকা, রুই ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি কাঁচকি ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা ও ইলিশের দাম আকার ভেদে ১০০০-১৬০০ টাকা। অন্যদিকে এক কেজি মাগুর ৬০০ টাকা, চিংড়ি ছোট (নদী) ৬০০ টাকা, টেংড়া ৬০০ টাকা, আঁইড় মাছ ৭০০ টাকা এবং বোয়ালে কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে কথা হয় মাছ ক্রেতা সজিবুর রহমান দোলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদে তানা কয়েকদিন সবাই মাংস খেয়েছে। তাই এখন মাছের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা সব মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, চাষের কই আগে ১৮০ টাকা করে কেজি কিনেছি, আজ কিনতে হলো ২২০ টাকায়। এমন কোনো মাছ নেই যে আজ দাম বাড়েনি।
গুলশান লেকপাড় মাছ বাজারের বিক্রেতা মইনুল ইসলাম নয়ন বলেন, পাইকারি বাজারে যেমন দামে আমাদের কেনা পড়ে, সেখান থেকে কিছুটা লাভ রেখে আমরা খুচরা বাজারে মাছ বিক্রি করি। পাইকারি বাজারেই আমাদের কেনা পড়ছে বেশি দাম। কিছুদিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একযোগে মাছ আসতে শুরু করলে দাম আবার কমে যাবে।
একই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বেশিরভাগ মাংসের দোকানই এখন বন্ধ। যেগুলো খোলা আছে তাদের গরু বেশি দামে কেনায় ৭০০/৭২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মালিবাগ এলাকার মুরগি বিক্রেতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঈদের পর থেকে মুরগির ক্রেতা তুলনামূলক কম। যদিও বাজার আগের মতোই রয়েছে। দাম বাড়েনি, কমেওনি। তবে ক্রেতা নেই বললেই চলে।
তিনি জানান, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লায় মুরগি ১৬০ টাকা, সোনালি ২৬০ টাকা, ডিম পাড়া কক প্রতি কেজি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।