খাদ্যসচিব বলেন, বাংলাদেশ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আফগানিস্তানের মতো দেশে গম পাঠানো হয়েছে।
দেশটির খাদ্যমন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, ১৩ মে’র পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮ লাখ টন গম রপ্তানি করেছে ভারত।
ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, গম রফতানির বাণিজ্যের অংশীদার হতে আমরা আগ্রহী নই। তবে কোনো দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য ভারত গম সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
এর আগে গত ১৩ মে হুট করে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। তাৎক্ষণিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞায় কার্যকর হওয়া বৈশ্বিক গম সরবরাহ ব্যবস্থার সংকট আরও তীব্র হয়। যার প্রভাব পরে ইউরোপেও।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী কৃষি বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কারণ বিশ্বের অন্যতম গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন।
আর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। তবে বৈশ্বিক রপ্তানিতে তাদের অংশ মাত্র এক শতাংশের মতো। পরিমাণ ও মূল্য উভয় দিক থেকে ভারতীয় গমের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বাংলাদেশ।
২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের মোট গম রপ্তানির ৫৪ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশে। ওই বছর ভারতীয় গমের শীর্ষ ১০ ক্রেতা ছিল বাংলাদেশ, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, ওমান ও মালয়েশিয়া।