তথ্য অনুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছর ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১১২ জন কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এটা বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রপ্তানিতে এক নতুন মাইফলকের জন্ম দিয়েছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে (২০২০-২১ অর্থবছর) শ্রমশক্তি অতটা পাঠানো সম্ভব হয়নি। এই সময় মাত্র ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৫ জন কর্মী পাঠানো হয়।
অপরদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ জন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪ জন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৭ জন লোক বিদেশে গেছে। এছাড়া ২০১৬-১৭ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদেশে গেছে যথাক্রমে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৬ জন ও ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭২১ জন।
এদিকে শ্রমশক্তি মন্ত্রণালয়ের ধারণা করছে, চলতি অর্থবছরে বিদেশে কর্মী রপ্তানি আরও বাড়বে। যেহেতু মালেয়শিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুসারে মালেয়শিয়া বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নেওয়ার টার্গেট করেছে।
শ্রমশক্তি রপ্তানি বিষয়ে সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-এর ডিজি মো. শহিদুল আলম জানিয়েছেন, গেল অর্থবছরে আমরা মাত্র ৪ লাখ লোক বিদেশে পাঠানোর জন্য টার্গেট করলেও তা বেড়ে প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি হয়েছে। সদ্য শুরু হওয়া অর্থবছরের মধ্যেই ৭ লাখ লোক বিদেশে পাঠানোর টার্গেট করেছে সরকার। এর মধ্যে মালেয়শিয়াও লোক নেওয়া শুরু করেছে। এ মিলিয়ে মোট ১৪ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হবে। আমরা যদি গুণগত শ্রমিক পাঠাতে পারি, আমাদের দেশে ডলারের পরিমাণ বাড়বে।
প্রবাসী আয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয় কমেছে ১৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেশে অর্থ এসেছে ২১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটা ছিল ২৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি লোক। এদের বেশিরভাগ গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।