শনিবার (১৬ জুলাই) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আইনি সহায়তা পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আসছে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। এখানে আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন জনগণকে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। এটার জন্য কারও দরজায় গিয়ে তদবিরের দরকার হবে না। ’
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। এভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে তারা শুধু দৈনন্দিন কাজ করবার জন্যই থাকবে। সেটা আইনের মধ্যেই আছে। আমরা আশা করবো সবাই নির্বাচনে আসবে। ’
বিভিন্ন মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘মামলার আসামি হিসেবে কেউ কারাগারে থেকে থাকলে আদালত ছাড়া তার মুক্তি সম্ভব না। ’
মামলাজট কমাতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলাজটের সঠিক পরিসংখ্যান জানতে একটা কমিটি করা হয়েছে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ওই কমিটি এ বিষয়ে তথ্য জানাতে পারবে। ’
আইনি সহায়তা পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়ার অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন আইনসচিব মো. গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, জি আই জেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক ও রুল অব ল প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেন গুপ্তা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আইনি সহায়তাকারী বা প্যারালিগ্যাল কর্মীদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন এনজিও’র সহায়তায় ৪০টি জেলায় প্যারালিগ্যাল কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ১০টি জেলায় এ কার্যক্রম রয়েছে। জার্মান দাতা সংস্থা জিআইজেড-এর আর্থিক সহায়তা এ কার্যক্রম চলছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।