এদিকে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৬ কোটি ৭০ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৬ জন।
রোববার (১৭ জুলাই) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। তবে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় ব্রাজিলকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২০৮ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৭৫ হাজার ৩৫৩ জনের। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৪৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্ত হলেন তিন কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৬ জন।
এরপর দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় রয়েছে, ইতালি, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ফ্রান্সে। দেশটিতে এ সময়ে এক লাখ ২৪ হাজার ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট তিন কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ৯১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যুর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৫৭৬ জন।
তবে মোট মৃত্যু ও সংক্রমণের দিক দিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৮২২ জন করোনায় মারা গেছেন। এছাড়াও মোট নয় কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৫৪ জন। এ সময়ে দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৭ হাজার ৩ জন।
মোট সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৮৪৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে দেশটিতে করোনায় কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। ভারতে এ পর্যন্ত চার কোটি ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৬৬০ জন।
এদিকে, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ২৩০ জনে। একই সময়ে নতুন করে এক হাজার ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪০ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।