যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ায় ওই এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত উপজেলা সদরেও আসতে পারেন না। এ কারণে অনেকেরই ভোটার তালিকায় নাম ওঠেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, থানচি উপজেলা সদর থেকে ৮০-৮৫ কিলোমিটার দূরে রেমাক্রি ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নে সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চল অবস্থিত। ওই এলাকার ১২টি পাড়ায় ৩০০ ম্রো, মারমা ও ত্রিপুরা পরিবারের বসবাস। শুধু বর্ষাকাল হলেই সাঙ্গু নদে যন্ত্রচালিত নৌকায় যাতায়াত করা যায়।
হেঁটে উপজেলা সদর থেকে ওই এলাকায় যেতে সময় লাগে চারদিন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ওই ৩০০ পরিবারের অধিকাংশ মানুষ ভোটার হতে পারেননি। ভোটার না হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রও তাদের নেই।
রেমাক্রি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুইসুইথোয়াই মারমা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্গমতার কারণে ওই এলাকার অনেকে ভোটার হতে পারেননি। পাননি জাতীয় পরিচয়পত্র। তাই অনেকে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে গত মাসে সেনাবাহিনীর একটি দল হেলিকপ্টারে গিয়ে ওই পরিবারগুলোকে ত্রাণ দিয়েছে।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক জানান, সাঙ্গু রিজার্ভ ফরেস্টের ৩০০ পরিবারের এনআইডি না থাকায় তাদের এ কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত করা যায়নি। করোনা দুর্যোগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবারের তালিকা করা হয়েছে।