বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় সফররত আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইএমএফ-এর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কোনো মিটিং ছিল না। সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তাদের পুরো টিম এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলুন। তারাই বিস্তারিত জানাবেন।’
জানা গেছে, সফররত আইএমএফ-এর উচ্চ পর্যায়ের এই টিম সরকারে বিভিন্ন পর্যায় বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য খাতের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এসময় তারা দেশের অর্থনৈতিক সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে বিশেষ করে তাদের দেওয়া ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হবেন এবং বাংলাদেশকে কোনো নতুন ঋণ দেওয়া হবে কিনা সে সম্পর্কে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির ঢাকাস্থ আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে, সিনিয়র ইকোনমিস্ট মিজ এস্টেলি লিউ, মিজ ঋতু বসু, অর্থনীতিবিদ এমানুয়েল কিটসিওস এবং অর্থনীতি বিশ্লেষক সাইফুল ইসলাম।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্টেটমেন্ট দেবেন। তখনই এই টিমের সফর সংক্রান্ত বিস্তারিত জানা যাবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরে অর্থমন্ত্রীকে সরকারের কৃচ্ছতা সাধন নীতিমালা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। এপ্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ব্যয় কমানো যেটাকে আপনারা কৃচ্ছতা সাধন বলেন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই কথা বলছেন। এরই অংশ হিসেবে সরকারের অপ্রয়োজনীয় ও কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প একেবারে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হলেই প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘তিনি বলেছেন আইএমএফ-এর আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।’ এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটার প্রয়োজন তো রয়েছেই। তাদের সহায়তায় আমরা রাজস্বখাতের বিভিন্ন সংস্কার করছি।’
আইএমএফ-এর কাছ থেকে নতুন কোনো আর্থিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা তো নেওয়া হচ্ছে। যদি নতুন কোনো সহায়তা নেওয়া হয় সেটা আপনারা সবাই জানবেন।’