বিভিন্ন স্থানে করা হয় লকডাউন। বন্ধ হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৭৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬ জনের।
জাতীয় এই দুর্যোগ মুহূর্তে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশের পুলিশ বাহিনী। মরণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকেই মাঠে কাজ করছে পুলিশ। পরিবার-পরিজন ছেড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে অবিরাম ছুটে চলছেন তারা। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি অনেক জায়গায় মৃত্যবরণকারী ব্যক্তির দাফন, জানাজাসহ রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানোর কাজও করতে হচ্ছে এই বাহিনীকে। অসহায় মানুষের বাড়িতে ত্রাণ নিয়েও ছুটছেন তারা।
এমন সব মানবিকতার কাজ করতে গিয়ে ১৯ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৪৯ জন পুলিশ সদস্য। এর থেকে পিছিয়ে নেই রংপুর জেলাও। ১ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত রংপুর জেলা ও মহানগর পুলিশের ৮৯ জন সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরও প্রায় শতাধিক সদস্য।
রংপুর জেলা পুলিশের তথ্যমতে, গত ১ মে পীরগাছা থানার এক পুলিশ সদস্যের প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ২০ মে পর্যন্ত জেলা পুলিশের ৬৬ জন সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। অন্যরা বাড়িতে এবং ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপরদিকে মহানগর পুলিশের তথ্য মতে, গত ৩ মে কোতোয়ালি থানা পুলিশের এক কর্মকর্তার প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ২০ মে পর্যন্ত মহানগর পুলিশের ২৩ জন সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরও ১৯ জন।
মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শামীমা পারভীন জানান, ২০ মে পর্যন্ত মহানগর পুলিশের ২৩ জন সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালসহ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে করোনা হাসপাতাল থেকে একজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ৩-৪ জন সুস্থ হয়েছেন বলেও তিনি জানান। এছাড়া আরও ১৯ জন সদস্য কোয়ারেন্টাইনে আছেন। পুলিশ লাইন্সসহ কোতোয়ালি থানার ব্যারাকে তারা কোয়ারেন্টাইন পালন করছেন।