বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বিএসইসি’র ‘মার্কেট সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স’ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিবিএ’র সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিওসহ ডিএসই’র শীর্ষ স্টক ব্রোকাররা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকার উপর আলোচনা করা হয়। এসময় পুঁজিবাজারে চাহিদা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ডিএসইসহ ডিবিএ’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়াসহ চারটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
এগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো- নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টক ডিলাররা আগামী কয়েকদিন বিনিয়োগ বাড়াবে।
দ্বিতীয়- গত কিছু দিন ধরে শেয়ার বিক্রি করে অনেক বিনিয়োগকারী বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। ওই বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে পুনরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব ইনঅ্যাকটিভ অ্যাকউন্ট আছে তাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগসহ উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
তৃতীয়- প্রত্যেক স্টক ব্রোকার তাদের বিদ্যমান বিনিয়োগকারী ছাড়া নতুন সম্ভাব্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়তা করবে।
চতুর্থ- বাংলাদেশের যেসব জেলায় স্টক ব্রোকারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ নেই, সেসব জেলায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং স্টক ব্রোকারগুলোর ডিজিটাল বুথ অথবা শাখা অফিস খোলার মাধ্যমে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
সভায় বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং কমিশনের পক্ষ থেকে ডিবিএ’র সুপারিশগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। সবশেষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান