মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সে সময়ে বঙ্গবন্ধু বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেন। অনেকেই বলে স্বল্প বাজেটে। কিন্তু ওই সময়ে তো এই টাকা ছিল অনেক। উনি তো নাও নিতে পারতেন। তখন গ্যাসের তেমন চাহিদাও ছিল না। তখন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে খাদ্য না কিনে গ্যাস ক্ষেত্র কিনলেন। আমরা এত গ্যাস দিয়ে করবো কি? কিন্তু সেই গ্যাস তো এখন কাজে লাগছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী এই আপৎকালীন সময়ে অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে জাতির পিতার প্রতি আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন উন্নত দেশ গড়ার, আমরা যেন সে স্বপ্নে অবিচল থাকি। তাহলেই আমরা এই বিপদ থেকে পার হতে পারবো। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
গ্যাস উত্তোলনের দিকে যেতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচুর সম্পদ এক্সপ্লোরেশনে বাকি আছে। আমাদের অনেক সম্পদ রয়ে গেছে। আমাদের সেদিকেই যেতে হবে। আমরা স্বল্প, দীর্ঘ বা মধ্য মেয়াদি সিদ্ধান্তে যাবো কি না, সেটা আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে। আবারও কোভিড আসতে পারে। আবারও যুদ্ধ আসতে পারে। আমাদের সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিফা আয়শা খান। এছাড়া বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।