সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সহশিক্ষা কার্যক্রমে সফলতা অর্জন এবং স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীরা এ স্বীকৃতি পান।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান হল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক, বৃত্তির চেক ও সনদ তুলে দেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হলের উদ্যোগে এই স্বর্ণপদক, বৃত্তি, স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা হলেন- দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহিয়া তাহরীম এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তন্বী রহমান। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়েশা মাহামুদ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ ও তানিয়া আক্তার, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের আফ্রিন রহমান মিলি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রিমা ইসলাম, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রোশনী খাতুন, ফিন্যান্স বিভাগের জান্নাতুল নাসরিন, লেদার প্রডাক্টস্ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নাজিয়া আফরিন জেসি, ফারহানা শারমিন ও সাজনীন আক্তার মুনমুন।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গমাতা : কোমলে-কঠোরে শুদ্ধতা ও প্রজ্ঞার প্রতীক’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সব শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি স্মারক বক্তাকে ধন্যবাদ এবং স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সব আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদান অনন্য ও ইতিহাস স্বীকৃত। বঙ্গমাতা তার জ্যোতিতে আলোকিত করেছেন জাতির পিতাকে, তার পরিবারকে, দলকে এবং সর্বোপরি বাঙালিকে। তার পরিশীলিত ও শুদ্ধ জীবনযাপন, প্রজ্ঞা, মানবদরদ ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা থেকে আমরা প্রতীকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার শিক্ষা পাই। বঙ্গমাতার আদর্শ ধারণ করে দেশ সেবায় এগিয়ে আসার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।