নিহতরা হলেন— ক্যাম্প ১৫ ব্লক সি/১-এর আব্দুর রহিমের ছেলে হেড মাঝি আবু তালেব (৪০) ও একই ক্যাম্পের সি/৯-এর ইমাম হোসেনের ছেলে সাব-ব্লক মাঝি সৈয়দ হোসেন (৩৫)।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৫-এর সি ৯ ব্লক থেকে প্রায় ১৫০ ফুট ওপরে দুর্গম পাহাড়ের ঢালে জনৈক আসিয়া বেগমের শেড (নম্বর ১০১০)-এর সামনে সৈয়দ হোসেন ও আবু তালেবকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন সৈয়দ হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত অপর রোহিঙ্গা মাঝি আবু তালেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুতুপালং হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান নিয়েছিল নিহত দুই রোহিঙ্গা মাঝি। এসব ইয়াবা টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি করায় আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের গ্রুপের লোকজনই তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
অপর আরেকটি সূত্র বলছে, ইয়াবার লেনদেনের পাশাপাশি নিহতরা নবী হোসেনের কথামতো চলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এ জন্য নবী হোসেন তাদের হত্যার নির্দেশ দেন।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন জানান, দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে ক্যাম্পে ব্লকরেইড দিয়ে অভিযান চলছে।