৬৫ দিনের অবরোধ শেষে প্রথম দিকে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও এখন ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত ৫ দিনে জেলেরা গভীর সমুদ্রে জাল ফেলেও কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেয়ে খালি ট্রলার নিয়ে ফিরছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, আবহাওয়াজনিত কারণে এমন হতে হতে পারে।
পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট, হেতালিয়া বাঁধঘাট ও পুরান বাজারে বর্তমানে ছোট সাইজের ইলিশ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের উপস্থিতি কম থাকায় সামুদ্রিক অন্যান্য মাছের দামও বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সমুদ্রবন্দর এলাকাগুলোতে বর্তমানে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। নিরাপদ স্থানে থেকে সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার ও নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম আজাহারুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলেরা সমুদ্রের গভীরে গিয়ে মাছ ধরতে পারছে না। এছাড়া এখনও ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময় যেহেতু সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, সে কারণে হয়তো ইলিশের দামও কিছুটা বেশি।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালীতে ৭৮ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। প্রতি বছর ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ৩৮৬ মেট্রিক টন। আর বাকি ৮৬ হাজার ৫৯৩ মেট্রিক টন মাছ অন্যান্য জেলার মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করে।