এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও, ফিনলে টি কোম্পানি, নাহার, এম আর খান, ইস্পাহানি, মির্জাপুর, জঙ্গলবাড়ি, মাজদিহি; সদর উপজেলার হামিদিয়া, প্রেম নগর, মৌলভী; কমলগঞ্জের কুরমা, চাম্পারায়, ফুলবাড়ি ও নূরজাহান, ভাড়াউড়া চা বাগানসহ রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার বিভিন্ন চা বাগানে চতুর্থ দিনের মতো দুইঘণ্টা কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন চা শ্রমিকেরা।
চা শ্রমিকেরা জানান, হাড়ভাঙা খাটুনিতে প্রতি বছর চা শিল্পে রেকর্ড চা উৎপাদন হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন আজও হয়নি। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দুটি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হলেও বারবার মার খাচ্ছেন চা শ্রমিকেরা। দেশের অন্যতম বৃহৎ চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় দেড় লাখের বেশি চা শ্রমিকের মজুরি দৈনিক ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আজ থেকে পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রমিকেরা আরও জানান, এর আগে তারা একই দাবিতে দুইঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছিল। কিন্তু তাতে টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির এ দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত তিনবছর ধরে নানা তালবাহানা করে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগানে কাজ বন্ধ রেখে পূর্ণ দিবস ধর্মঘট পালন করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করবে।