‘হ্যালো! বিকাশ/রকেট থেকে বলছি। আপনার এ্যাকাউন্টে একটু সমস্যা হয়েছে। এটি বন্ধ করে দেয়া হবে। সঠিক তথ্য দিতে পারলে আপনার এ্যাকাউন্টটি সচল রাখা হবে।’ এরপরই ভোটার আইডি কার্ডের নাম, নম্বর, পিতার নাম জানতে চাইলেন। এরপরই বললেন, আপনার নম্বরে একটি মেসেজ গেছে। পিন নম্বরটি বলুন। এরপর পিন নম্বর দিলেই সর্বনাশ।
একইভাবে সামাজিক যোগাযোগ ও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে বোনাস উপহারসহ নানা অফারের নামে চলছে প্রতারণা। বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, শিওর ক্যাশ এর নামে ওয়েবসাইট খুলে অর্থ হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করছে প্রতারকরা।
বিকাশের নামে এমনই এক নতুন ফাঁদ তৈরি করেছে একটি প্রতারক চক্র। যেমন- প্রতারক চক্রটি বলছে, ‘ঈদ উপলক্ষে ব্র্যাক ব্যাংক সবার বিকাশ এ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে বোনাস দিচ্ছে। আমি এইমাত্র বিকাশ সাইটে আমার নম্বর বসিয়ে টাকা নিলাম। আপনি যদি এখনও না পেয়ে থাকেন তাহলে নিচের লিংকে ঢুকে আপনার বিকাশ নম্বর দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন ১০০০ টাকা।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন সব ফাঁদ পেতেছে বেশ কিছু সংঘবদ্ধচক্র। তাই তাদের কাছ থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু প্রতারক চক্র সবসময়ই সাধারণ কাউকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আমরা সবসময় সবাইকে সতর্ক করি। আমরা গ্রাহককে সবসময় বলি, আপনি আপনার পিন নম্বর কখনোই কাউকে দেবেন না। কারণ কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের গোপন নম্বর চায় না। যারা গোপন নম্বর চাইবে তারাই প্রতারক।’
এসব প্রতারকদের কাছ থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো অফার দেই তখন বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে তা প্রচার করা হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহককে সচেতন হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কোনো প্রতারক চক্রের তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে জানাই। তখন তারা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।