ফলে নিউকোলন এলাকার দার আস-সালাম মসজিদ শুক্রবার মাত্র হাতে গোণা কয়েকজন নামাজীকে জায়গা দিতে পারে। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে ক্রুজবার্গ-এর মার্থা লুথেরান চার্চ। তারা বলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের গির্জায় জুমার নামাজ আদায় করতে পারবেন। এবছর পৃথিবীর আর সব দেশের মত বার্লিনেও করোনা সংকটের কারণে সবরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী ও প্রথা মেনে পালন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
"এট দারুণ একটা ব্যবস্থা এবং এই সঙ্কটের মাঝে রোজার সময় আমাদের খুবই খুশি করেছে," রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেন স্থানীয় ওই মসজিদের ইমাম। "এই মহামারি আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য তৈরি করেছে, সঙ্কটই মানুষকে কাছে নিয়ে আসে।" "কিন্তু এখানে নামাজ আদায় করতে অদ্ভুত লাগছিল, ভেতরে বাজনা আছে, ছবি আছে," বলেন নামাজী সামির হামদুন, "ইসলামের প্রার্থনাস্থলে তো এসব থাকার কথা নয়।"
"কিন্তু এসব অগ্রাহ্য করতে হবে, ভাবতে হবে আমরা ঈশ্বরেরই একটা আলয়ে বসে আছি।" এমনকী ওই গির্জার যাজকও নামাজে অংশ নিয়েছেন। "আমি জার্মান ভাষায় বক্তৃতা করেছি," জানান মনিকা ম্যাথিয়াস। "আর নামাজের সময় আমি শুধু একটা কথাই বলেছি- হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ। কারণ আমরাও তো একইভাবে উদ্বিগ্ন এবং আমরা আপনাদের কাছ থেকেও শিখতে চাই।" "একে অপরের প্রতি এই শ্রদ্ধাবোধটা খুবই সুন্দর," বলেন গির্জার যাজক মনিকা ম্যাথিয়াস।