এফটিপিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বাংলাদেশের

এফটিপিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বাংলাদেশের
নতুন ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) দম ফেলার সময় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময়কালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) নতুন এফটিপি প্রকাশ করেছে আইসিসি।

এই নতুন চক্রে বাংলাদেশ ৩৫টি টেস্ট খেলবে। এ ছাড়া এই সময়ে বাংলাদেশ খেলবে ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭টি টি-টোয়েন্টি। সব মিলিয়ে এই চার বছরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মোট ১৫১টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর বাইরে আইসিসির ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ তো আছেই।

নতুন এফটিপিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আছে চারটি সিরিজ। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। সেই সফরে দুটি টেস্টও খেলবে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের সঙ্গে হোম-অ্যাওয়ে দুই সিরিজই আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে আছে দুটি টেস্ট। ২০২৫ সালের মে মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আবারও পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। সে সময় হবে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে তিনটি ওয়ানডে। নভেম্বরে আবারও নিউজিল্যান্ড দুটি টেস্ট খেলতে আসবে। ডিসেম্বরেই বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে হবে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৬ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড আবারও বাংলাদেশ আসবে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলতে।

এফটিপির এই চক্রে অস্ট্রেলিয়া সফর আছে, সেটি ২০২৭ সালের মার্চে। সেখানে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৬ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়া তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে।

ইংল্যান্ড সফর নেই এই চক্রে। অবশ্য ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দুবার ইংল্যান্ড আসবে বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশের মাটিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলবে ইংলিশরা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে এসে দুটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড।

২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশে ও আয়ারল্যান্ডের মাটিতে দুটি সিরিজ আছে বাংলাদেশের। মার্চে দেশে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। মে মাসে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে আসবে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০২৩ সালের জুনে হোম সিরিজে আছে দুটি টেস্ট। এ ছাড়া আছে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৪ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ দেশের মাটিতে। ২০২৫ সালের জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ আছে এই চক্রে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশে আসবে। এই সফরে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। ২০২৫ সালের মার্চে আবারও দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ আসবে। এই সফরে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ।

২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি সিরিজ বাংলাদেশের। ২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৫ সালের মার্চে আরও একটি হোম সিরিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এতে থাকছে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ খেলবে দুটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়