বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বাজারগুলোতে লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৫০ টাকা করে। যা বুধবার (১৭ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা হালিতে। কোথাও কোথাও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা হালিতে।
অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম কমেছে ১ টাকা। একদিন আগে প্রতি পাতা (৩০ পিস) ডিম ৩৬০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে কয়েক দিন থেকে ডিমের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন খামার মালিকরা। যার জন্য বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা সাধারণত রংপুর অঞ্চলের খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। ডিমের দাম বাড়তির কারণে আমাদের বিক্রি কমেছে।
হিলি বাজারে ডিম কিনতে আসা আনছার আলী বলেন, বাজারে সব পণ্যের দামই বেশি। এর মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির খবর যে ডিমের দাম কমেছে। প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে চাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, বিভিন্ন মসলাসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বেশি। আমাদের অনেক কষ্ট করে বাজার করতে হচ্ছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। ব্যয় যেভাবে বেড়েছে আয় তো সেভাবে বাড়েনি। কিভাবে সংসার চলবে সেই চিন্তায় ঘুম আসছে না।
এদিকে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, হিলি বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন নিত্যপণ্যের দাম বেশি না নিতে পারে সেই জন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে আমরা আইনের আওতায় এনে জরিমানা করব। ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সবসময় আমাদের আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।