তবে সংকটকালীন এ পরিস্থিতির মধ্যেও বিনিয়োগের বিপরীতে লোকসান কমিয়ে আনার মাধ্যমে বার্ষিক ও প্রান্তিক মুনাফায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।
সর্বশেষ সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য সময়ে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের কর-পরবর্তী সমন্বিত মুনাফা হয়েছে ৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা এর আগের ২০১৮ হিসাব বছরে ছিল ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আর এককভাবে ২০১৯ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ৭১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ শতাংশ। ২০১৯ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৮ পয়সা, এর আগের বছরে যা ছিল ৮৫ পয়সা।
সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের পর্ষদ। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট ১৬ জুলাই।
এদিকে চলতি ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের কর-পরবর্তী সমন্বিত মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত ইপিএস ১৪ পয়সা, এর আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা।
জানতে চাইলে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার বণিক বার্তাকে বলেন, ২০১৮-এর তুলনায় ২০১৯ সালে আমাদের সাবসিডিয়ারি থেকে লোকসানের পরিমাণ কমেছে। যার কারণে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত মুনাফা আগের তুলনায় বেড়েছে। একইভাবে চলতি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবসিডিয়ারির লোকসান কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
ফলে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকেও মুনাফা প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। মূলত বিনিয়োগের বিপরীতে লোকসান কমার কারণে সমন্বিত মুনাফার ওপর চাপ কমেছে। তাছাড়া এককভাবে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের পারফরম্যান্সও ভালো হয়েছে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ব্যবসা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিমাণ যাই হোক না কেন, এই কঠিন সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করাটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। সামনের দিনগুলোতেও প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।