বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর বাজেট ঘোষণা শুরু হয়।
এটি হবে দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।
মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে সঙ্গত কারণেই এবারের বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যখাত। বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যা জিডিপির ১.৩ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ৭.২ শতাংশ।
এবারের বাজেটে বরাদ্দ ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকার মধ্যে পরিচালন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১০ হাজার ৫৪ কোটি টাকা।
বাজেটে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের বাজেটের তুলনায় ১ হাজার ২৮২ কোটি টাকা বেশি।
সব মিলিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।
এ খাতে ২০১৯-২০ সালের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
আগামী বছর করোনার যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা খাতের উপকরণ হ্যান্ডগ্লাভস, মাস্ক, পিপিই, ওষুধ এবং আইসিইউর যন্ত্রপাতির দাম কমছে এবারের বাজেটে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা' শিরোনামের এই বাজেটে স্বাস্থ্যখাতই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির প্রতি দেয়া হচ্ছে অগ্রাধিকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসব অগ্রাধিকার খাতের পাশাপাশি বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন প্রস্তাব থাকবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট অধিবেশনে মিডিয়া কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না।
বাজেট ডকুমেন্টস সংসদ ভবনের বাইরে পশ্চিম পার্শ্ববর্তী মিডিয়া সেন্টার থেকে সোয়া ৩টায় সাংবাদিকদের বিতরণ করা হবে।
বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ-বিদেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠানো যাবে।