তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে ফেরত পাঠানো কোনওভাবেই কাম্য নয়। যারা এই কাজটি করছেন সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। শনিবার (১৩ জুন) থেকে প্রশাসন এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট শুরু করবে। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্সও বাতিল হবে।’
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাইফ পাওয়ার টেকের উদ্যোগে কোভিট-১৯ মোকাবেলায় একশ অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারাদেশ এমনকি পৃথিবী জুড়েই আইসিইউ সঙ্কট আছে। ইতালি নিউইয়র্কের মতো দেশে বহু বয়স্ক মানুষকে আইসিইউ সেবা দিতে না পারার কারণে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।’
সদ্য ঘোষিত বাজেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সব সমালোচনাকে অসার প্রমাণিত করে গত ১১ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাজেট বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশ এগিয়ে গেছে। দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমেছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ। জিডিপিতে পৃথিবীর অন্যতম বেশি গ্রোথ রেটের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এবারের বাজেটও সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আট দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। পত্রপত্রিকায় দেখলাম এত বেশি লক্ষ্যমাত্রা কেন স্থির করা হলো তা নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। ক’দিন আগে আইএমএফ বলেছে যদি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব খুব সহসা কেটে যায় এবং বৈশিক মন্দাও যদি সহসা কেটে যায় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নয় শতাংশের বেশি হতে পারে। এটি হচ্ছে আইএমএফের প্রাক্কলন। সুতরাং সেটি যদি বিবেচনায় নিই তাহলে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চয়ই উচ্চাভিলাষী নয়।’
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সিস্টেম চালু করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান। তিনি নিজেও কালো টাকা সাদা করেছিলেন। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেও কালো টাকা সাদা করেছিলেন। অর্থনীতির স্বার্থে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের অপ্রদর্শিত টাকাকে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। আমীর খসরু মাহমুদের উচিত সেই তথ্য ও উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা এবং আয়নায় নিজেদের চেহারাটাও একটু দেখা।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি, সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।