দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১১ আগস্ট পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও পুরোদমে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আজ থেকে।
প্রথমে ১২টি সিটি কর্পোরেশন এলাকার স্কুলে করোনার টিকা দেওয়া হবে। পরে সারাদেশে ৫-১১ বছর বয়সি সব শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী শিখা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৫টি কেন্দ্রে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে শিশুদের প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এনে ইতোমধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর আগে, ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা-
১. সারাদেশের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ ৫-১১ বছর বয়সী শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২. ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিনব্যাপী ১২টি সিটি করপোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫ টি ওয়ার্ড এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
৩. প্রতিদিন ১ হাজার ৮৬০টি টিকাদান টিম কাজ করবে।
৪. ২৫ আগস্ট ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ভ্যাকসিনের ধরন
১. শিশুদের উপযোগী ফাইজার ভ্যাকসিন।
২. ডোজের সংখ্যা- ২
৩. ডোজের পরিমাণ ০.২ এমএল
৪. প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান- ৮ সপ্তাহ বা ৫৬ দিন
টিকাদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন
১. সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
২. যে শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকরা জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
৩. বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য দিতে করতে হবে।
কীভাবে ভ্যাকসিন পাবে
কোভিড-১৯ টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে নিজ নিজ স্কুলে ও পরবর্তীতে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুল বহির্ভূত শিশু) নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।