সূত্র মতে, এবিষয়ে গত ২৩ জুন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নারায়ণগঞ্জ রোড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে দুর্নীতির বিষয়টি অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দরপত্রে অংশগ্রহণ করা একটি কোম্পানি। একই সঙ্গে ১৭ জুলাই সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দুর্নীতির বিষয়টি অবহিত করে দরপত্রে অংশ নেওয়া এক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সওজ কার্যালয়ের প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অর্থসংবাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তিনি সাড়া দেননি।
চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ই মার্চ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নারায়ণগঞ্জ রোড সার্কেল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতুতে দুইটি অনলাইন ভিত্তিক টোল কেন্দ্র এবং ২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরই ধারবাহিকতায় ১৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সওজ প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রস্তাবিত আর্থিক প্রস্তাবনা উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল এশিয়ান ট্রাফিক টেকনলোজি। নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দর দেওয়া দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। বরং দুর্নীতি আশ্রয় নিয়ে তালিকায় পিছিয়ে থাকা এবং অতিরিক্ত দর দেওয়া ‘ইউডিজি কন্সট্রাকশন’কে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, এমন দুর্নীতির ফলে রাষ্ট্রের টাকা একটি কুচক্রী মহলের হস্তগত হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সংশোধনমূলক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনাদের নিকট অনুরোধ করছি।
এদিকে দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজিস ৩৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দরপত্রে উল্লেখ করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী- সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এগিয়ে থাকা দুই প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকলেও ১ম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোন প্রতিষ্ঠানকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বরং তালিকায় অনেক পিছিয়ে থাকা ইউডিসি কন্সট্রাকশনকে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার দরপত্র দাখিল করেছে ইউডিসি।