জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন? তিনি বলেন, সাত দশক ধরে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন, কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়। সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি। এখনো দিচ্ছে না। বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনো দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি। স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে পড়েছে। বিএনপি আরেকটি ওয়ান- ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের। কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যা বলে, করে তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলে তারা, অথচ এর সব কয়টি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিকভাবে তাদের সব কর্মসূচি মোকাবিলা করবো। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।
বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের।