যেসব ওষুধের দোকান নির্ধারিত সময়ের পরও খোলা রাখতে হবে, তারা আবেদন করলে আমরা তা পর্যালোচনা করবো। বুধবার (৩১ অগাস্ট) রাজধানীর আজিমপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন আজিমপুর পথচারী পারাপার সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা যে সময়সূচি দিয়েছি তা খুবই সমাদৃত হয়েছে। ঢাকাবাসীসহ সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছে একটি শহরেরও বিশ্রামের প্রয়োজন। সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢাকাবাসী ব্যস্ততার জন্য পরিবার-পরিজনকে সময় দিতে পারে না। সুনির্দিষ্ট সময়ে দোকানপাট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরে ঢাকাবাসী তার পরিবারকে সুন্দর সময় উপহার দিতে পারবে।
রাত ৮টার মধ্যে সব দোকান-পাঠ বন্ধ হয়ে যাবে, আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোকে আমরা আলাদা আলাদা সময়সূচির আওতায় এনেছি।
এর আগে গত ২২ আগস্ট একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে রাত আটটার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণীবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার জন্য গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সে নির্দেশনাক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ঢাকা শহর পরিচালনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জনস্বার্থে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়সীমার মধ্যে রয়েছে- সব দোকান-পাট, শপিং মল, মার্কেট, বিপণীবিতান, কাঁচাবাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
একইভাবে সব ধরনের রেঁস্তোরা, খাবার দোকান, ও দোকানের রান্না ঘর রাত ১০টা এবং খাবার সরবরাহ রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্ত বিনোদনমূলক স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানগুলো রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টায় এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।