বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ তথ্য জানান ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আশা করি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা কিছু অর্থবহ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারব। এবারের সহায়তার পরিমাণ বেশ বড়। কোরিয়ান সরকার প্রকল্পগুলো চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে এবং বছরের শেষ নাগাদ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা করছি।
লি জাং-কুন জানান, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে দেওয়া কোরিয়ান বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণ ছিল ৭০০ মিলিয়ন। কোরিয়া খুব কম সুদের হারে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে, যা এক শতাংশের কম এবং ১৫ বছরের গ্রেস ব্যাপ্তিকাল ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত অর্থবছরে তা ছিল ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে ছিল ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকারী নয়। গত বছর বার্ষিক এফডিআই ছিল ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন এবং বছরে কোরিয়া থেকে ১০০ মিলিয়ন মূল্যের এফডিআই আসছে।
চলতি বছর প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী কর্মসংস্থানের জন্য কোরিয়া যাচ্ছেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার কর্মী চলে গেছে।
লি জাং-কুন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি দেশটি থেকে ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশে তিনটি কোরিয়ান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং তাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করে। কোরিয়া রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য বছরে ৪-৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে থাকে।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।