বুধবার (৩১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এই টাকার বড় অংশ ব্যয় করা হবে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর শর্ত অনুসারে গত বছরের ২৪ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে রোড শো’র আয়োজন করেছিল কোম্পানিটি। এতে যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Investor) ও সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের সামনে কোম্পানির আর্থিকচিত্র, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে, প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করার লক্ষ্যে নিলামের আয়োজন করা হবে। যে দামে এসে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের (Cut-off Price) চেয়ে ৩০ শতাংশ অথবা ২০ টাকা, যেটি কম, সেই দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
সূত্র মতে, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছীূল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।