এ নিয়ে আগামীকাল সকালে বৈঠক ডেকেছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক।
তিনি বলেন, আমরা ওয়ারী এলাকার ম্যাপিং পেয়েছি। এটি আমাদের দুটি ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। এ নিয়ে আজ সকাল থেকে আমরা কাজ করছি। আগামীকাল মেয়রের সভাপতিত্বে লকডাউন কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে পুলিশ, কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, এটুআই প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়েছে। আমরা এখন কীভাবে লকডাউন কার্যকর করবো সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকালকের বৈঠকে কবে থেকে লকডাউন শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মেয়র আগেই বলেছেন- আমাদের এলাকা ভিত্তিক ম্যাপিং করে দেওয়ার পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। সেখানে আগামী পরশু দিন ও তার পরের দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে। ওই দুই দিন ছুটি থাকায় হয়তো সেটা হিসাব থেকে বাদ যেতে পারে। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আমরা এলাকায় মাইকিং করে বিষয়টি জানিয়ে দেবো।
এমদাদুল হক আরও বলেন, লকডাউন এলাকায় মানুষের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ, নমুনা সংগ্রহ, হোম কোয়ারেন্টিন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, টেলিমেডিসিন সার্ভিস, মৃতদেহ সৎকার, রোগী পরিবহন, হোম ডেলিভারি, লকডাউনের কারণে কর্মহীনদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কমিটিসহ অন্যন্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে কাজ করছি।
উল্লেখ্য, লকডাউনের জন্য রেড জোন হিসেবে তালিকায় থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রেড জোনের সুপারিশকৃত এলাকার মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটির এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর। এগুলোকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি।