এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আরেক আশঙ্কার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)- অনেক দেশই এখন গুরুতর করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সহায়তা দিতে পারছে না।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, অনেক দেশই এখন অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সংকটে ভুগছে। এই মুহূর্তে সরবরাহের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। এতে দৈনিক বড় সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার, অর্থাৎ ৬ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার অক্সিজেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক জানান, তারা ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনেছেন, যা আগামী সপ্তাহেই ১২০টি দেশে পাঠানো হবে। এছাড়া, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে আরও ১ লাখ ৭০ হাজার কনসেন্ট্রেটর সরবরাহ করা হবে।
এদিকে, জাতিসংঘের অধীন স্বাস্থ্য সংস্থাটির এমারজেন্সিজ প্রোগ্রামের প্রধান ডা. মাইক রায়ান জানিয়েছেন, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ানোর পরেও সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে এবং সেটি এখনও শিখরে (পিক) পৌঁছায়নি। অনেক দেশেই গত কয়েক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
করোনা মহামারি প্রতিরোধে আগে থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংস্থাটি থেকে সরে গিয়ে বর্তমান কমিটির কার্যক্রমের জরুরি পর্যালোচনা দাবি করেছেন।