এজিএমে কোম্পানি চেয়ারম্যান আজিজ আল মাহমুদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ খান বক্তব্য রাখেন।
এজিএমে বলা হয়, শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে, আইডিএলসি আর্থিক বাজারে তাদের শীর্ষস্থান অব্যাহত রেখেছে, এবং তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজার পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০১৯ এর শেষে, আইডিএলসি গ্রুপ এর মোট লোন পোর্টফোলিও ১০% বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশী টাকায় ৯,২৩৫ কোটি টাকা (পাঁচ বছরের কিউমুলেটিভ এভারেজ গ্রোথ রেট (সিএজিআর) ১৪.৪৩%) এ পৌঁছেছে। আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড ২০১৯ সালে ৩.০৭% মন্দ ঋণের হার বজায় রেখে তাদের ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে যেখানে বাজারের সামষ্টিক গড় হার ১০% এর বেশি। শক্তিশালী ও মানসম্পন্ন পোর্টফোলিও বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি এ অর্জনে সহায়ক হয়েছে বলে সভায় দাবি করা হয়।
সভার শুরুতে, গ্রুপ কোম্পানি সেক্রেটারি, মোঃ জোবাইর রহমান খান সকল সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।
এজিএমে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের র মধ্যে পরিচালক আতিকুর রহমান, মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, মাহিয়া জুনেদ, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মোঃ কামরুল হাসান, সৈয়দশাহরিয়ার আহসান, স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়াজ হাবিব ও মতিউল ইসলাম নওশাদ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান, সিএফও মাসুদ করিম মজুমদার সহ বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উভয়েই শেয়ারহোল্ডারদের স্বাগত জানান এবং আইডিএলসিতে তাঁদের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আইডিএলসি কিভাবে তার সহকর্মীদের কঠোর পরিশ্রম এবং কৌশলগত দক্ষতার মাধ্যমে আর্থিক কর্মক্ষমতা অর্জন করেছে তা তারা তুলে ধরেন । পাশাপাশি ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে স্থিতিশীল এবং টেকসই ব্যবসায়িক চালিকা শক্তি তৈরি করেছে এবং তার উপর ভিত্তি করে আগামীতে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অংশগ্রহণের প্রয়াস ব্যক্ত করে। শেয়ারহোল্ডারগণও আইডিএলসি এই উন্নতিকে সাধুবাদ জানান।