শনিবার সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হিসাব নিরীক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিকিউকে মুসতাক আহমেদ এ কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিকিউকে মুসতাক বলেন,করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কোম্পানি ‘নানা কৌশলের’ আশ্রয় নিচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি। উদ্ভুত পরিস্থিতে টিকে থাকার জন্যেই হয়তো তারা এসবের আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু আইন এগুলোর অনুমোদন দেয় না। তাই অবশ্যই প্রত্যেক কোম্পানিকে আইন মেনে চলতে হবে।আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে হিসাববিবরণী ও আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফারুক। সেশন চেয়ারম্যান ছিলেন আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মাহবুব আহমেদ সিদ্দিকী।
এফআরসির চেয়ারম্যান সিকিউকে মুসতাক আহমেদ বলেন, কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে। সামনের দিনগুলোতে প্রকৃতপক্ষে কী হতে যাচ্ছে, সেটা আমরা কেউই বলতে পারছি না। তাই আমাদের সবাইকে কভিড পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তৈরি থাকতে হবে।
এফআরসির চেয়ারম্যান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বাধীন পরিচালকরা মোটেও স্বাধীন নয়।তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া কীভাবে হয়,সেটা আমাদের অজানা নয়। অথচ আর্থিক প্রতিবেদনের মানোন্নয়ন ও গুণগত নিরীক্ষা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে স্বাধীন পরিচালকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।তিনি যে কোনো মূল্যে কোম্পানি সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। আর্থিক প্রতিবেদনের মান উন্নয়নে এফআরসি বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা পরবর্তী অবস্থায় দেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হতে। এই পরিস্থিতির উত্তরণে অ্যাকাউন্টেন্টদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন,আর্থিক প্রতিবেদনের মান উন্নয়নে অনেক কিছুই করতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম বা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এখানে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, যাতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দক্ষতা ও মানের উন্নয়ন ঘটে।