বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া একটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনি রাত সোয়া একটায় মারা গেছেন। তার করোনা পজিটিভ ছিলো। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। আবদুল হাইয়ের মরদেহ বর্তমানে সিএমএইচে মরচুয়ারিতে আছে বলেও জানান তিনি। আগামী (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে জানাজা ও পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আবদুল হাইকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। আবদুল হাইয়ের মৃত্যুর খবর সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে আবুল খায়ের উজ্জ্বল বলেন, ‘করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তাঁর (আবদুল হাই) নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে ৫ জুলাই মামাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবির সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাহ’র সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।