কমিশন সূত্র মতে, দুই কোম্পানির দর বাড়ার কারণ তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য হলেন সংস্থাটির উপ পরিচালক শামসুর রহমান ও সহকারী পরিচালক সুলতান সালাউদ্দিন। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিকন ফার্মাসিটিউক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ারের দর গত নয় মাসে ২৭১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারের দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ডিএসই। সেই সময় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়,শেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৫ পয়সা। কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
সেন্ট্রাল ফার্মা: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে। কোম্পানির শেয়ারের দর ৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা। তবে মার্চ মাসে এর শেয়ারের দাম ৪১ শতাংশ কমেছে। শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় ডিএসই। পরে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এদিকে কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার আইন অমান্য করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএসইসির আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে প্রত্যেক পরিচালকের ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। সেন্ট্র্রাল ফার্মার পরিচালনা পর্ষদের যৌথভাবে ২৫দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।