যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেছেন, ‘হুয়াওয়ের মতো কয়েকটি কোম্পানির কিছু কর্মীকে আমরা ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তারা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত।’
অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ চীনের হয়ে কাজ করছে হুয়াওয়ে এবং ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে চীন সরকারের হাতে তারা তথ্য তুলে দেবে।
চীনা অ্যাপ টিকটক নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র অস্বস্তিতে আছে। তাদের অভিযোগ অ্যাপটি ডেটা চুরি করছে। শীঘ্রই টিকটক নিষিদ্ধ করারও আভাস দিয়েছেন মাইক পম্পেও।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়ায় বেশ শক্ত ভাষা ব্যবহার করেছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও বিপাকে আছে হুয়াওয়ে। যুক্তরাজ্যের মোবাইলফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী বছর থেকে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের আর কোনো ৫-জি পণ্য কিনতে পারবে না।
এ ছাড়া ২০২৭ সালের মধ্যেই তাদের নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের ৫-জি যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
যুক্তরাজ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কেবল হতাশাজনকই নয়, মনোবল ভেঙে ফেলার মতো। হুয়াওয়ের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হচ্ছে, তা অন্য চীনা ব্যবসাগুলো খুব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।’