এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হযেছে মাত্র ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা।
লোকসানে নিমজ্জিত হওয়ায় ২০১৫ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনেও লোকসানের তথ্য তুলে ধরেছে। ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানিটি ২০১৮ সালের মার্চের পর আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যবসা করে ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা লোকসান করেছে। এতে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা।
ঢাকা ডাইংয়ের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল অ্যাপোল ইস্পাত। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে পূবালী ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- তাল্লু স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান : স্কিমের ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, লিব্রা ইনফিউশনের ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, এমবি ফার্মার ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং অ্যাকটিভ ফাইনের ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দাম কমেছে।