ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরের মধ্যে এটি কোম্পানিটির সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ। এর আগে ২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অবশ্য নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ওই বছর কোম্পানিটি বোনাস শেয়ারও লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ আগস্ট।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ারের দাম যতখুশি বাড়তে পারবে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগে ২০১৭ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৬ সালে ৮ শতাংশ নগদ ও ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় প্রগতি লাইফ।
এছাড়া ২০১৪ সালে ১৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১২ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১১ ও ২০১০ সালে ১২ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। কোম্পানিটির ২০১৫ ও ২০১৩ সালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই।