ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ছিলেন শীর্ষস্থানে। তাঁর সঙ্গে ৫৪ রেটিং পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে ম্যানচেস্টার টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন স্টোকস। কী খেলাটা-ই না খেললেন! ১৭৬ ও ৭৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে ৩ উইকেট নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস ছিল টেস্ট ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে আক্রমণাত্বক (ন্যূনতম ৫০ বল খেলা), জানাচ্ছে ক্রিকভিজ। ২০০৬ সাল থেকে এ নথি সংরক্ষণ শুরুর পর এমন আক্রমনাত্বক ইনিংস খেলতে দেখা যায়নি আর কোনো ওপেনারকে।
এমন পারফরম্যান্স দিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে হোল্ডারকে চোখে পড়ার মতো ব্যবধানেই পেছনে ফেলেছেন ইংলিশ পেস অলরাউন্ডার। ৩৮ রেটিং পয়েন্টের পার্থক্য। এ ছাড়াও ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়েও স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলির পরই, তিনে। দীর্ঘ ১৮ মাস রাজত্বের পর শীর্ষ অলরাউন্ডারের মুকুট স্টোকসের কাছে সমর্পণ করতে হলো হোল্ডারকে।
স্টোকসের শীর্ষস্থান দখল করা ইংলিশদের জন্য বড় আনন্দেরও উপলক্ষ্য । এ জায়গায় সর্বশেষ কোনো ইংলিশকে দেখা গেছে ২০০৬ সালে। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের পর এই ১৪ বছরে প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে শীর্ষ অলরাউন্ডার হলেন স্টোকস।
তাঁর অধিনায়ক জো রুট তাই সতীর্থের প্রশংসায় কোনো রাখঢাক রাখেননি। বেশ মজাই করেছেন রুট। মারভেল কমিকসের সুপার হিরো ‘হাল্ক’কে নিয়ে কমিক বই ‘ইনক্রেডিবল হাল্ক’-এর উদাহরণ টেনেছেন তিনি, ‘সে (মিস্টার) অবিশ্বাস্য। দেখে সেরকমই লাগে। অবসর নেওয়ার সময় গড়নও একই থাকবে।’ গড়নের কথা বলার কারণ সম্ভবত স্টোকসের পেশিবহুল দুটি হাত।
রুট মনে করেন, আকাশই স্টোকসের সীমানা, ‘সে এ পর্যায়ে পারফর্ম করে যাবে বলেই আমি মনে করি। আকাশই তার সত্যিকারের সীমানা। এমন ধারাবাহিকতায় তার পারফরম্যান্স ধরে না রাখার কোনো কারণ নেই।’