সংসদের আইন শাখা সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সংসদ সদস্যদের সই করা হাজিরা বই বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর আগে ২০ কার্যদিবস চলা সংসদের ১৮তম অধিবেশন ও বাজেট অধিবেশনে যাননি ছয়জন এমপি। বাজেট অধিবেশনের সময় সদস্যদের উপস্থিতির গড় ছিল ১৯৭ দশমিক ২৫ জন। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ২৯৯ জন (৯ জুন) এবং ১৫৪ জন (১২ জুন)। এটি ছিল বছরের তৃতীয় অধিবেশন।
সবশেষ ১৯তম অধিবেশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩৩ জন, বিরোধীদল জাতীয় পার্টির তিনজন, বিএনপি ও বিকল্প ধারার একজন করে অনুপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), মো. আব্দুল কুদ্দুস (নাটোর-৪), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-২), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), শেখ তন্ময় (বাগেরহাট-২), ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ (বরিশাল-১), জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), রেবেকা মমিন (নেত্রকোনা-৪), সৈয়দা জাকিয়া নুর (কিশোরগঞ্জ-১), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬), এএম নাঈমুর রহমান (মানিকগঞ্জ-১), সালমান ফজলুর রহমান (ঢাকা-১), হাজী মো. সেলিম (ঢাকা-৭), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) (ঢাকা-১৭), মো. জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), মো. আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), সেলিমা আহমাদ (কুমিল্লা-২), মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীরউত্তম (চাঁদপুর-৫), এ কে এম শাহজাহান কামাল (লুক্ষ্মীপুর-৩), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), মাহফুজুর রহমান (চট্টগ্রাম-৩), মো. আফছারুল আমীন (চট্টগ্রাম-১০), জাফর আলম (কক্সাবাজার-১), বেগম নাহিদ ইজাহার খান (মহিলা আসন-৫), শেখ এ্যানী রহমান (মহিলা আসন-১৯), বেগম ফরিদা খানম (মহিলা আসন-৩৩), নাদিরা ইয়াসমিন জলি (মহিলা আসন-৪২)।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি এরশাদ (রংপুর-৩), রওশন এরশাদ (ময়মনসিংহ-৪), এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫) ওই অধিবেশনে যাননি।
বিএনপির মো. মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও বিকল্প ধারার মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী (মুন্সিগঞ্জ-১) অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন।
সংসদে অনুপস্থিতি সম্পর্কে শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১) বলেন, ব্যক্তিগত কারণে ওই অধিবেশনে সংসদে যেতে পারিনি। এছাড়া আমি নিয়মিত যাই।
সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও সংসদ উপনেতা অসুস্থতার কারণে অধিবেশনে যেতে পারেননি। এরপরই সংসদ উপনেতা মারা গেলেন। এছাড়া এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত ছিল। এজন্য অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল বেশি। আর করোনার প্রকোপ তো এখনো যায়নি।
এই অধিবেশন শুরুর দিন নতুন ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে নির্বাচিত করেন সংসদ সদস্যরা।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ফজলে রাব্বী মিয়া একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের পদ এবং গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৩৭টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে তিনি উত্তর দেন ১৫টির। অন্য মন্ত্রীদের জন্য ৯৮৬টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। যার মধ্যে তারা উত্তর দেন ৩৬৯টির। বিধি-৬২ তে একটি মুলতবি প্রস্তাব পাওয়া গেলেও তা নাকচ করেন স্পিকার। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৩৭টি। বিল পাস হয় তিনটি।
বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সংক্রান্ত এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ওপর সাধারণ আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে প্রস্তাব দুটি সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়।