প্রবাসী আয়ে বড় ধাক্কা, ৭ মাসে সর্বনিম্ন সেপ্টেম্বরে

প্রবাসী আয়ে বড় ধাক্কা, ৭ মাসে সর্বনিম্ন সেপ্টেম্বরে
সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত ৭ মাসের মধ্যে এটিই প্রবাসীদের পাঠানো সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স।

তবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের গড়ে যেভাবে রেমিট্যান্স এসেছিল সে তুলনায় দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে কিছুটা কমে গেছে। এ কারণে পুরো মাসেই কমেছে রেমিট্যান্স।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা ২ বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স আসে দেশে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রেমিট্যান্সের সে ধারা অব্যাহত ছিল। ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা সেপ্টেম্বরেও ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আশা করেছিলেন। তবে পরের সপ্তাহগুলোয় ধারাবাহিকতা কমে যাওয়ায় কমে যায় রেমিট্যান্স। অর্থাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়া আগের দুই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমে যায় সেপ্টেম্বরে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। দ্বিতীয় মাস আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যমতে, সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে মোট ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার বা প্রায় ১.৫৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের (২০২১ সালের সেপ্টেম্বর) একই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার বা প্রায় ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার।

আলোচিত সময়ে (সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। একই সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪১ ডলার।

সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে (৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার)। এরপর সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ২৮ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৭২ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৬ লাখ এবং ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে।

তবে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ