পাকিস্তান এই রান পার করতে নিয়েছে মাত্র ১২.২ ওভার। বাংলাদেশের মেয়েরা হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার মুনিবা আলি আর সিদরা আমিনই ৪৯ রান তুলে দেন পাকিস্তানকে। ১৪ রান করা মুনিবাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন সালমা খাতুন।
তবে এরপরের পথটুকু পাড়ি দিতে একদমই কষ্ট হয়নি সিদরা আমিন আর অধিনায়ক বিসমাহ মারুফের। সিদরা ৩৫ বলে ৩৬ আর বিসমাহ ২০ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজও টসভাগ্য সহায় হয়নি টাইগ্রেসদের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ডায়ানা বায়াগের বল ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন শামীমা সুলতানা (১)।
পরের ওভারে সাদিয়া ইকবালকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড ফারজানা হক (১)। এরপর রুমানা আহমেদও এলবিডব্লিউর শিকার মাত্র ১ রানে। দলের বোর্ডে ৩ রান উঠতেই ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ৩৪ বলে ২৪ রানের একটি জুটি গড়েন নিগার সুলতানা জ্যোতি আর লতা মন্ডল। লতা ১২ রান করে নিদা দারের বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারায় চ্যাম্পিয়নরা।
এরপর সালমা খাতুনকে নিয়ে অধিনায়ক জ্যোতির ২৩ বলে ১৫ রানের আরেকটি ছোট জুটি। জ্যোতিকেও এলবিডব্লিউ করেন নিদা দার। ৩০ বলে অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
১৪তম ওভারে মাত্র ৪২ রান তুলে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর আর লড়াকু পুঁজির পেছনে ছুটতে পারেনি। সালমা খাতুন ২৯ বলে অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে।