হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কম ও ভারতে দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিয়ে বাড়ানো হয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে বন্দরে প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা। আর হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পাইকার থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতারাও। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে আমদানিকারকদের।
দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিনই ভারত থেকে ট্রাক-ট্রাক পেঁয়াজ আসে হিলি স্থলবন্দরে। বন্দর দিয়ে মূলত ইন্দোর, নাসিক ও নগর জাতের পেঁয়াজসহ বেশ কয়টি জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়। আর আমদানির কম-বেশির উপর নির্ভর করে এসব পেঁয়াজের দাম।
সম্প্রতি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কমের অজুহাতে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। বন্দরে পাইকারিতে প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮-১০ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে প্রতি কেজি ৮ টাকা করে।
ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১-৩২ টাকা দরে, যা আগে ২২-২৪ টাকা কেজি। নগর জাতের পেঁয়াজ ৩৬-৩৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পাইকাররা।
হিলি স্থলবন্দর পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতে অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেশি। তাই বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম কমলে আমাদের এখানেও দাম কমবে।
হিলি পানামা পোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের ৫ কর্ম দিবসে ভারতীয় ১১৪ ট্রাকে ৩ হাজার ১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
অর্থসংবাদ/কেএ