বৃষ্টিতে খেলা না হলে জিতে যাবে বাংলাদেশ

বৃষ্টিতে খেলা না হলে জিতে যাবে বাংলাদেশ

ভারতের ১৮৫ রান তাড়ায় ৭ ওভার যেতেই আকাশ থেকে নামলো বৃষ্টি। কিন্তু লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ আছে বেশ এগিয়ে। এখন পর্যন্ত তুলেছে বিনা উইকেটে ৬৬ রান।





ডি/এল স্কোরে ভারতের থেকে এখন ১৭ রানে এগিয়ে টাইগাররা। অর্থাৎ বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরু না হলে জিতে যাবে সাকিব আল হাসানের দল।





ব্যক্তিগত ৯ রানে লিটন দাস উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে চেক করে দেখেন, বল ক্যাচ হওয়ার আগেই মাটিতে পড়েছে। এরপর লিটন আরেকবার জীবন পান তৃতীয় ওভারে।





অর্শদীপ সিংয়ের বলে এবারও ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে গিয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। বল তার গ্লাভসে লাগলেও জমে থাকেনি। ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফের বেঁচে যান লিটন।





ভাগ্য সহায় থাকা দিনে লিটন খেলেছেন দুর্দান্ত। ২১ বলেই করেছেন ফিফটি। এবারের বিশ্বকাপে কোনো ব্যাটারের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এটি।





এর আগে লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলির জোড়া ফিফটিতে ভর করে বড় সংগ্রহই পেয়েছে ভারত। ৬ উইকেটে তুলেছে ১৮৪ রান।





অ্যাডিলেড ওভালে আজ টসভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশের। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।





তাসকিন আহমেদকে দিয়ে বোলিং ইনিংস উদ্বোধন করেন সাকিব। ডানহাতি পেসার শুরুটা বেশ ভালোই করেন। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান নিতে পারে ভারত। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুলকে ছক্কা হাঁকান লোকেশ রাহুল। ওই ওভারে ওঠে ৯ রান।





এরপরই উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়কের ক্যাচ হাত ফস্কে যায় হাসান মাহমুদের।





তারপরের ওভারে হাসানের হাতেই বল তুলে দেন সাকিব। আর দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে তুলে নেন হাসান। যেন ক্যাচ ফেলার প্রায়শ্চিন্ত করেন দারুণ এক ডেলিভারিতে।





হাসানের অফস্টাম্পে করা শর্ট ডেলিভারি আপারকাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইয়াসির আলির ক্যাচ হন রোহিত (৮ বলে ২)। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৭ রান তোলে রোহিতের দল।





তাসকিনের নামের পাশে একটি উইকেট থাকতে পারতো। ভাগ্য সহায় হয়নি। কিন্তু ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে পাওয়ার প্লেতে আটকে রাখার কাজটা ভালোভাবেই করেন তাসকিন।





ডানহাতি এই পেসারকে ইনিংসের ৭ ওভারের মধ্যে ৪ ওভার বল করিয়ে ফেলেন সাকিব। উইকেট না পেলেও তাসকিন ২৪ বল করে দেন মাত্র ১৫ রান।





দ্বিতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলি ৩৭ বলে গড়েন ৬৭ রানের ঝোড়ো জুটি। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন রাহুল। তবে এরপর আর টিকতে পারেননি। সাকিবের ঘূর্ণিতে শর্ট ফাইন লেগ আকাশে তুলে দেন বল, ক্যাচ নেন মোস্তাফিজুর রহমান। রাহুলের ঝোড়ো ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ছিল ৪টি ছক্কার মার।





সূর্যকুমার যাদব বরাবরই ভয়ংকর ব্যাটার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও জ্বলে উঠছিল তার ব্যাট। শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। ১৬ বলেই ৪ বাউন্ডারিতে ৩০ রান তুলে ফেলা এই ব্যাটারকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন সাকিব আল হাসান।





এরপর হার্দিক পান্ডিয়াও সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে ফেরান হাসান মাহমুদ। বাউন্সি ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইয়াসিরকে সহজ ক্যাচ দেন হার্দিক (৬ বলে ৫)। ১৩০ রানে ভারত হারায় ৪ উইকেট।





১৭তম ওভারে এসে ৩৭ বলে ফিফটি করেন কোহলি। শরিফুলের ওই ওভারেই রানআউট হন দিনেশ কার্তিক (৫ বলে ৭)। তবে কোহলি অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন।





শরিফুল ইসলাম বলতে গেলে একাই ডুবিয়ে দিয়েছেন দলকে। একাদশে সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য এই পেসার। হাসান মাহমুদ ৪৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩৩ রানে ২ উইকেট শিকার সাকিবের।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে