এদিকে কয়েকটি কোম্পানির অফিসের ঠিকানায় গেলে সেখানে অন্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলতেও দেখা গেছে অর্থসংবাদের অনুসন্ধানে। এমনকি একটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস। আবার একাধিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে জানা গেছে, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে বহু আগেই। এমন সব কোম্পানি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জানা গেছে, ড্যান্ডি ডাইং, ডাইনামিক টেক্সটাইল, মেটালেক্স কর্পোরেশন, মিতা টেক্সটাইল, মডার্ন সিমেন্ট, মনা ফুড প্রোডাক্টস, পারফিউম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, পেট্রো সিনথেটিক লিমিটেড, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল, কাশেম সিল্ক মিলস, বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ, কাশেম টেক্সটাইল মিলস, রাসপিট ইনকর্পোরেশন, রোজ হেভেন বল পেন, সালেহ কার্পেট, শ্রীপুর টেক্সটাইল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার এটিবিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
ওটিসির যে ১৮ কোম্পানিকে এটিবিতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তাঁর মধ্যে ৮টি কোম্পানির ঠিকানায় গিয়ে কোন অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি অর্থসংবাদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঠিকানা ধরেই এ অনুসন্ধান চালানো হয়।
বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্যান্ডি ডাইং, মডার্ন সিমেন্ট, মনা ফুড প্রোডাক্টস, পেট্রো সিনথেটিক লিমিটেড, রোজ হেভেন বল পেন, শ্রীপুর টেক্সটাইল ও মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজের দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করে অর্থসংবাদ। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির অফিসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কয়েকটিতে অনেক আগেই কোম্পানিগুলোর অফিস ছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
পেট্রো সিনথেটিক: পেট্রো সিনথেটিক প্রোডাক্টস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় কাওরান বাজারের এআরএ ভবনের দ্বিতীয় তলায় বলে ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। সেই ঠিকানায় গিয়ে ভবনটির বাইরে অস্পস্টভাবে পেট্রো সিনথেটিক প্রোডাক্টসের নাম লেখা হয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবে দেখা যাওয়ার মতো নয়। ভেতরে প্রবেশ করে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে এআরএ ইন্টারন্যাশনালের কার্যালয় রয়েছে। ভেতরে অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হয় পেট্রো সিনথেটিক নামের কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তারা জানেন না। তবে পরবর্তীতে পুণরায় জানানো হয় অফিস থাকলেও কোম্পানিটির কোন কার্যক্রম নেই। সেখানে তারেক নামের একজন নিজেকে পেট্রো সিনথেটিকের অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।
অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া তারেক জানান, পেট্রো সিনথেটিকের তিনজন পরিচালক মারা গেছেন। আর যিনি বেঁচে আছেন তিনি অফিসে নেই।
তারেকের কাছে পেট্রো সিনথেটিকের পরিচালকের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। শেয়ারবাজারে পেট্রো সিনথেটিকের লেনদেন চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোম্পানিই তো বন্ধ হয়ে গেছে, শেয়ারবাজারে যাবে কিভাবে?
পেট্রো সিনথেটিক প্রোডাক্টস লিমিটেডের ৪২ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪২ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে কোম্পানিটির ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৭ টাকায় লেনদেন হয়েছিল।
শ্রীপুর টেক্সটাইল: শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে। এটিবিতে স্থানান্তর হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই কোম্পানিতেই সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। শ্রীপুর টেক্সটাইলে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫০ শতাংশ শেয়ার। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ৩৭ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে কোম্পানিটির ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শ্রীপুর টেক্সটাইলের শেয়ার সর্বশেষ ৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঠিকানা ধরে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে যায় অর্থসংবাদ। ওই ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, ইবরা লিমিটেডের অফিস রয়েছে সেখানে। এই ইবরা গ্রুপের সহযোগী কোম্পানি ছিল শ্রীপুর টেক্সটাইল। সুশান্ত ঘোষ নামের একজন জানান, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক আগেই শ্রীপুর টেক্সটাইল নিলামে বিক্রি করে দেয় বাংলাদেশ ডেভলোপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।
সুশান্ত ঘোষ জানান, নিলামে বিক্রির পর কোম্পানিটির নাম হয় ডিভাইন টেক্সটাইল। বর্তমানে ডিভাইন টেক্সটাইলের কারখানা গাজীপুরে।
সুশান্ত ঘোষের কাছে ইবরা লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি জানান, কোম্পানির চেয়ারম্যান নাসিমা খাতুন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন।
ড্যান্ডি ডাইয়িং: ড্যান্ডি ডাইয়িং লিমিটেডের কার্যালয়ের ঠিকানা অনুযায়ী গিয়ে দেখা গেছে, তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে কোম্পানিটির অফিস। দরজায় একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। ওই নম্বরে কল করলে বশির নামের একজন কল রিসিভ করেন। তিনি জানান, তাদের লোকজন অফিসে আসে না, তাই অফিস বন্ধ। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বলেন, পরে একদিন কল দিয়ে আসেন। তাহলে অফিসে থাকবো।
বস্ত্র খাতের ড্যান্ডি ডাইং লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে সর্বশেষ ৫ টাকা ৮০ পয়সায়। এই কোম্পানির ৪৯ দশমিক ০৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দখলে। কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫০ শতাংশ শেয়ার। বাকি ০ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ড্যান্ডি ডাইয়িং।
মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ: মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অফিসের ঠিকানা দেওয়া আছে ২১, দিলকুশা সি/এ (দ্বিতীয় তলা)। তবে এই ঠিকানায় গিয়ে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। নাসিম চেম্বার নামের ওই ভবনের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস শুরুর আগেই কোম্পানিটি এই কার্যালয় ছেড়েছে। এখন কোথায় নতুন অফিস, তাঁর ঠিকানা তাঁরা জানেন না।
মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কোম্পানিটির ৮৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। পরিচালক ও উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ দশমিক ০৭ শতাংশ। আর ১ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
রোজ হেভেন বল পেন: মতিঝিলের রহমান চেম্বারে রোজ হেভেন বলপেনের অফিস রয়েছে বলে ডিএসইর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাস্তবে সেখানে প্রতিষ্ঠানটির অফিস পাওয়া যায়নি। রহমান চেম্বারের একজন কেয়ারটেকার জানান, প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগেই এই অফিস ছেড়েছে রোজ হেভেন বলপেন।
এটিবিতে স্থানান্তর হওয়া রোজ হেভেন বল পেন লিমিটেডে বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটির ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীগের হাতে।
মনা ফুড: মনা ফুড প্রোডাক্টসের ঠিকানা দেওয়া আছে মতিঝিলের গ্লোব চেম্বারে। গ্লোব চেম্বারে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানালেন কোম্পানিটির কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ আছে। কোম্পানির পরিচালক বা উদ্যোক্তাদের মুঠোফোন নম্বর চাইলে তিনি দিতে পারেননি।
১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় মনা ফুড প্রোডাক্টস্। ডিএসইর তথ্য বলছে ২০২৮ সালে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১৭ টাকা ৫৭ পয়সা। ২০১৯ সালে লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ টাকা ৯৭ পয়সায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে মনা ফুডের ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ রয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। সর্বশেষ মনা ফুডের শেয়ার সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে।
মডার্ন সিমেন্ট: এটিবিতে লেনদেনের অপেক্ষায় থাকা মডার্ন সিমেন্ট লিমিটেড ঠিকানা দেওয়া আছে ১৩০৭, সেনাকল্যাণ ভবন, মতিঝিল। ওই ঠিকানায় গিয়ে দেখা সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয় রয়েছে। অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে জানানো হয়, কোম্পানিটির মালিক মারা গেছেন। আগে এখানে অফিস ছিল, বর্তমানে ওই ফ্লোর বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় মডার্ন সিমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সায়। ১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৪৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে প্রতিষ্ঠানটির ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার।
বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ: দিলকুশার রাজউক অ্যানেক্স ভবনে বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যালয় আছে বলে ডিএসইর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে। তবে সেখানে কোম্পানিটির অফিসের হদিস পাওয়া যায়নি। ভবনের কেয়ারটেকাররাও কোম্পানিটি সম্পর্কে কোন তথ্য জানাতে পারেন নি।
এটিবি মার্কেটে লেনদেনের অপেক্ষায় থাকা বাংলা প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সর্বশেষ ১০৯ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার। এছাড়াও ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দখলে রয়েছে।
নিলামে বিক্রি হলেও শ্রীপুর টেক্সটাইলের সম্পর্কে জানে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, শ্রীপুর টেক্সটাইল নিলামে বিক্রি হওয়ার কোন তথ্য জানা নেই। ডিএসই থেকে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জানাতে হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো. শফিকুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, এখন পর্যন্ত একটি কোম্পানিও এটিবিতে লেনদেনের জন্য আবেদন করেনি। ১৮টি কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই। ডিএসইর ওয়েবসাইটে যে ঠিকানা দেওয়া আছে তা ২০০৯ বা ২০১০ সালের তথ্য।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসংবাদকে বলেন, এটিবিতে বন্ধ কোম্পানি আনলে বিনিয়োগকারীরা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বন্ধ কোম্পানি কেন আবার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসছে? কিসের ভিত্তিতে এসব কোম্পানিকে আবার শেয়ারবাজারে আনা হচ্ছে।